জঠরাগ্নি (ধনঞ্জয় চন্দ্র দাস )

 জঠরাগ্নি
ধনঞ্জয় চন্দ্র দাস

___________________________________


আমি কবি নই, এই কবিতা ও আমার না,

এই কবিতার প্রতিটি চরণে আছে তীব্র যন্ত্রণা!

তবে কভু কি পারিবে সেই যন্ত্রণা গুছিয়ে দিতে?

অর্ধছেড়া-জামা, ধূলিমাখা মলিন আখিতে,

চেয়ে আছে তোমার আহারে, 

যা খাচ্ছো তুমি প্রাণ ভরে,

এমন করে তার জঠরানল করিলে শান্ত, 

কভু কি অনুভব হয়? সে কতটা ক্ষুধার্ত! 


আমি কবি নই, এই কবিতা ও আমার না,

এই কবিতা রুষ্ট হবে ভেবে ও আমি বিচলিত না!

তবে কভু কি পারিবে এই উত্তাপ শান্ত করিতে?

চটা গলায় বের হওয়া সুরের ধ্বনিতে,

অগোছালো কিছু ভাষায় তোমাকে আঘাত করে,

সে শোনাচ্ছে আর বসে আছে গাপটি মেরে, 

এমন করে তার জঠরানল করিলে শান্ত, 

কভু কি অনুভব হয়? সে কতটা ক্ষুধার্ত! 


আমি কবি নই, এই কবিতা ও আমার না,

এই কবিতার প্রতিটি ভ্রমে দিতে চাই মন্ত্রণা!

তবে কভু কি পারিবে ভ্রমে পতিত হওয়া রোধ করিতে?

ভয় ভয় হিয়ায় কম্পিত হাতে,

তোমার পকেটে থাকা থলে টান মারে,

যা রাখিয়াছো স্বযত্নে তোমার করে,

এমন করে তার জঠরানল করিলে শান্ত, 

কভু কি অনুভব হয়? সে কতটা ক্ষুধার্ত! 


আমি কবি নই, এই কবিতা ও আমার না,

কবির অধঃপতনে সবে কি দায়িত্ব হীনা! 

তবে কভু কি পারিবে তার এই অবনতি রুখতে?

বিবেকহীন হয়ে চলছে শূন্য নীতিতে,

সুযোগ পেলেই কুকর্ম করে,

তাতে সমাজ তাকে তিরস্কার বা দন্ডিত করে,

এমন করে তার জঠরানল করিলে শান্ত, 

কভু কি অনুভব হয়? সে কতটা ক্ষুধার্ত! 






ক্ষুধার দাবানলে পুড়ছে সবে,

ধনীরা কদাচিত তবে সদা বুঝিতে পারে গরিবে।

সেই ক্ষুধার অগ্নি, ব্যাথা হতে করে ক্রোধের বর্ধন,

কখনো ভ্রমিতে ভ্রমিতে ঘটায় নিজের অধঃপতন।

তবে কি এখনো বুঝোনি জঠরাগ্নি কি?


হে ঈশ্বর, সৃষ্টির চিরকল্যাণ কারি,

সব দাও তবে এই ধরার বুকে দিও না ভূখারি।


__________________________________________


লিখার শেষ সময়ঃ ভোর ৪ টা ৫২ মিনিট ( সারা রাত জাগা ছিলাম )--- ০৮/০৫/২০২২ ইং


দীর্ঘ ৫ বছরের ও অধিক সময়ের পর আজ এই কবিতা টি লিখেছি। যদি ও মন চায় তবে সময় করতে পারি না


0 Comments